বিদ্যুৎ, জ্বালানি ও খনিজ সম্পদ মন্ত্রণালয় সম্পর্কিত সংসদীয় স্থায়ী কমিটির সভাপতি ও কুমিল্লা দক্ষিণ জেলা আওয়ামীলীগের সিনিয়র সহ সভাপতি মো: তাজুল ইসলাম এমপি তাঁর আপন মামা ডাক্তার মফিজুর রহমানের জানাযার নামাযের পূর্বে মুসল্লিদের উদ্যেশ্যে বলেন, আমার মামা ডাক্তার মফিজুর রহমান ১৯৭১সালে মুক্তিযুদ্ধ চলাকালীন সময়ে আহত ও অসুস্থ মুক্তিযোদ্ধাদেরকে চিকিৎসা সেবা দিতেন। কোন মুক্তিযোদ্ধা আহত অবস্থায় অথবা অসুস্থ অবস্থায় মফিজ ডাক্তারের কাছে গেলে তিনি পয়সা ছাড়াই তাদেরকে চিকিৎসা করতেন এবং ঔষধ দিতেন।
আজকে মুক্তিযোদ্ধা কমান্ডার ও অন্যান্য মুক্তিযোদ্ধাবৃন্দ তাদের বক্তব্যে আমার মামার কাছ থেকে চিকিৎসা সেবা নেওয়ার কথা স্বীকার করেন। এ মানুষটি আজকে আমাদের কাছ থেকে চলে গেছেন। আমার মামা ছোট বেলায় আমাকে অনেক আদর করতেন। তিনি জীবদ্দশায় তাঁর উপযুক্ত সন্তানদেরকে রেখে গেছেন। আজকে তাঁর সন্তানরা এখানে উপস্থিত রয়েছেন। আমি মহান আল্লাহ রাব্বুল আলামিনের কাছে প্রার্থনা করি, হে মহান রাব্বুল আলামিন তুমি আমার মামা মফিজ ডাক্তারের জীবনের সকল গুনাহ মাফ করে তাঁকে জান্নাত নসিব করুন।
উপস্থিত সকল মুসল্লিদের কাছে তিনি তাঁর মামা মরহুম ডাক্তার মফিজুর রহমানের জন্য দোয়া কামনা করেন। গতকাল রবিবার সকালে মনোহরগঞ্জ উপজেলার মান্দারগাঁও উচ্চ বিদ্যালয় মাঠে ডাক্তার মফিজুর রহমানের জানাযার নামাজের পূর্বে তিনি এসব কথা বলেন। গত শনিবার রাত ৮ঘটিকার সময় কুমিল্লা জেলা পরিষদের সদস্য ও মনোহরগঞ্জ উপজেলা আওয়ামীলীগের সভাপতি মাষ্টার আবদুল কাইয়ুম চৌধুরীর বাবা ডাক্তার মফিজুর রহমান (১১৫) বার্ধক্যজনিত কারনে তাঁর নিজ বাড়ীতে ইন্তেকাল করেছেন (ইন্নালিল্লাহি —- রাজেউন)।
মৃত্যুকালে তিনি ৪ ছেলে, ১ মেয়েসহ বহু আত্মীয় স্বজন ও গুণগ্রাহী রেখে গেছেন। গতকাল রবিবার মরহুমের জানাযার নামায শেষে তাঁকে তার পারিবারিক কবরস্থানে দাফন করা হয়। মরহুমের জানাযার নামাজ পরিচালনা করেন তার দৌহিত্র হাফেজ রিদওয়ান আহমেদ শিশির। মরহুমের জানাযার নামাযে অংশগ্রহণ করেন লাকসাম উপজেলা চেয়ারম্যান এডভোকেট ইউনুছ ভূঁইয়া, লাকসাম পৌরসভা আওয়ামীলীগের সভাপতি তাবারক উল্যাহ কায়েস, সাধারণ সম্পাদক মহব্বত আলী, লাকসাম উপজেলা আওয়ামীলীগের সাংগঠনিক সম্পাদক এড. রফিকুল ইসলাম হিরা, কুমিল্লা পল্লী বিদ্যুৎ সমিতি-৪ মনোহরগঞ্জ জোনাল অফিসের ডিজিএম শাখাওয়াত হোসেন, মনোহরগঞ্জ উপজেলা শিক্ষা অফিসার মইনুল ইসলাম, সহকারী শিক্ষা অফিসার হানিফ মিয়া, মনির হোসেন, উপজেলা দারিদ্র বিমোচন অফিসার আবু বকর মিয়াজী,
মনোহরগঞ্জ থানার ওসি আনোয়ার হোসেন, মনোহরগঞ্জ উপজেলা আওয়ামীলীগের সহ সভাপতি আবুল কালাম চেয়ারম্যান, যুগ্ন সাধারণ সম্পাদক তাজুল ইসলাম চৌধুরী, মনির হোসেন হেলাল, সাংগঠনিক সম্পাদক দেলোয়ার হোসেন ভেন্ডর, আবুল কালাম আজাদ, আবুল বাশার মজুমদার, মুক্তিযোদ্ধা বিষয়ক সম্পাদক কমান্ডার আবদুল আজিজ, শিক্ষা বিষয়ক সম্পাদক প্রফেসর আবদুর রশিদ, বীরমুক্তিযোদ্ধা মাষ্টার শাহজাহান, ডাক্তার মোক্তার হোসেন, এনায়েত উল্যাহ, চেয়ারম্যান আলমগীর হোসেন বিএসসি, আবদুল মন্নান, কামাল হোসেন, জিয়াউর রহমান শাহিন জিয়া, মোস্তফা কামাল, মহিন উদ্দিন চৌধুরী, উপজেলা শিক্ষক সমিতির সাধারণ সম্পাদক এস.এম শেখ কামাল, আওয়ামীলীগ নেতা হাজী অহিদ উল্যাহ পাটোয়ারী, আবদুল হালিম, আবুল আয়েস ভূঁইয়া, উপজেলা যুবলীগের আহবায়ক দেওয়ান জসিম উদ্দিন,
যুগ্ন আহবায়ক জানে আলম, আমির হোসেন, কামাল হোসেন, মহি উদ্দিন, পঞ্চগ্রাম স্কুল এন্ড কলেজের প্রধান শিক্ষক মেজবাহ উদ্দিন, উপাধ্যক্ষ আবদুল কুদ্দুস হিলালী, নাথেরপেটুয়া ডিগ্রী কলেজের প্রভাষক মোফাজ্জল হোসেন, বিশিষ্ট রাজনীতিবিদ বাবুল হোসেন, উপজেলা স্বেচ্ছাসেবকলীগের আহবায়ক সেলিম কাদের চৌধুরী, যুগ্ন আহবায়ক রুহুল আমিন, নজরুল ইসলাম পাটোয়ারী সোহেল, যুবলীগ নেতা জসীম উদ্দিন, মাসুদ ওয়াসিম, উপজেলা ছাত্রলীগের সহ সভাপতি মোঃ আমিরুল ইসলাম, সাধারণ সম্পাদক মোঃ কামাল হোসেন, ছাত্রলীগ নেতা শিমুল খাঁন, আজিম উদ্দিন বাহারসহ এলাকার সর্বস্তরের জনগণ।