কুমিল্লার মুরাদনগরে সুমন মিয়া (৩২) নামের এক বাস চালকের রহস্যজনক মৃত্যু হয়েছে। মঙ্গলবার (২৬ ফেব্রুয়ারি) মঙ্গলবার দুপুরে উপজেলার নবীপুর পশ্চিম ইউনিয়নের পৈয়াপাথর এলাকার খলিলুর রহমানের বাসা থেকে পুলিশ লাশ উদ্ধার করে। এঘটনায় নিহতের স্ত্রী তিশা আক্তারকে (২৬) আটক করেছে পুলিশ। মৃত সুমন উপজেলার যাত্রাপুর ইউনিয়নের ভবানীপুর গ্রামের মৃত মরম আলী ড্রাইভারের ছেলে।
স্থানীয় সূত্রে জানা যায়, সুমন তিশা পরিবহনের বাসচালক। একমাস পূর্বে সুমন মুরাদনগর উপজেলার কোম্পানীগঞ্জ পৈয়াপাথর এলাকার ব্যাবসায়ী খলিলুর রহমানের বাড়ীতে বাসা ভাড়া নেয়। সুমনের অনুপস্থিতিতে ওই বাসায় বহিরাগত ছেলেদের আনাগোনা প্রায়ই দেখা যেত। এ নিয়ে প্রতিনিয়ত স্বামী ও স্ত্রীর মধ্যে ঝগড়া লেগেই থাকত।
বাস চালক সুমনের মৃত্যুর খবর পেয়ে মুরাদনগর থানা এস আই শওকতের নেতৃত্বে একদল পুলিশ মঙ্গলবার দুপুরে ঘটনাস্থল থেকে লাশ উদ্ধার করে থানায় নিয়ে আসে এবং তার স্ত্রী তিশাকে আটক করে।
নিহতের বোন পারভীন আক্তার নতুন কুমিল্লাকে বলেন, স্ত্রী তিশার পরকিয়ার জেরেই আমার ভাই সুমনকে হত্যা করা হয়েছে। সুমনকে পরিকল্পিত ভাবে হত্যা করে আত্মহত্যা বলে প্রচার করছে তিশা ও তার পরিবারের সদস্যরা। আমরা এই হত্যার সুষ্ঠু বিচারসহ খুনির ফাঁিস চাই।
এ বিষয়ে মুরাদনগর থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) একেএম মনজুর আলম নতুন কুমিল্লাকে বলেন, স্ত্রীর পরকীয়ার কারনে প্ররোচিত হয়ে আত্মহত্যা করেছে বলে প্রথামিক ভাবে ধারনা করা হচ্ছে। এ ঘটনায় তার ভাই ফারুক বাদী হয়ে একটি মামলা দায়ের করেছে। লাশ ময়না তদন্তের জন্য কুমিল্লা মেডিকেল কলেজ হাসপাতাল (কুমেকে) প্রেরন করা হয়েছে বলে তিনি জানান।