কুমিল্লা মহানগরীর টমছম ব্রিজ থেকে নন্দনপুর কোটবাড়ি বিশ্বরোড সড়কের বেহাল দশা। ইট-পাথর, সুরকি উঠে সড়কটিতে বড় বড় গর্ত সৃষ্টি হওয়ায় জন সাধারণের দুর্ভোগ চরম আকার ধারণ করেছে। পথচারী ও যাত্রীদের যাতায়াতে ভোগান্তির সঙ্গে ঝুঁকি নিয়ে গণপরিবহন চলাচলে বেড়েছে দুর্ঘটনা। বড় বড় গর্ত আর খানাখন্দে পানি জমে মুক্ত জলাশয়ের রূপ নিয়েছে।
স্থানীয়রা জানান, কুমিল্লা শহরে যাতায়াতের জন্য এই সড়কটি গুরুত্বপূর্ণ। দীর্ঘদিনের ভোগান্তির পর গত কয়েকদিন আগে চাঁপাপুর থেকে টমছম ব্রিজের পূর্ব অংশের সড়কটির সংস্কার শেষ হয়। কিন্তু সড়ক ও জনপথ বিভাগের অবহেলার কারণে দীর্ঘদিন ধরে সড়কটি সংস্কার হচ্ছে না।
সরেজমিন জানা যায়, টমছম ব্রিজ থেকে কোটবাড়ি পর্যন্ত সড়কটি দৈর্ঘ্য প্রায় ৮ কিলোমিটার। এ সড়ক দিয়ে কুমিল্লা বিশ্ববিদ্যালয়, পল্লী উন্নয়ন একাডেমি, কুমিল্লা পলিটেকনিক ইনস্টিটিউট, টিচার্স ট্রেনিং ইনস্টিটিউট, সিসিএন বিশ্ববিদ্যালয়, কুমিল্লা সেনানিবাস, বিজিবি সেক্টর হেডকোয়ার্টার্স, কুমিল্লা ভিক্টোরিয়া ডিগ্রি কলেজ, র্যাব কার্যালয়, কুমিল্লা শিক্ষাবোর্ড মডেল কলেজ, সার্ভে ইনস্টিটিউট,
পানি উন্নয়ন বোর্ড, আনসার-ভিডিপি আঞ্চলিক কার্যালয়, প্রাণিসম্পদ কার্যালয়, শিক্ষাপ্রতিষ্ঠানে শহর ও জেলার পশ্চিমাঞ্চলের মানুষ যাতায়াত করে। এছাড়া ময়নামতি জাদুঘর, শালবন বিহারসহ কোটবাড়ির বিভিন্ন পর্যটন স্থাপনায় দূর-দূরান্তের পর্যটকদের আসা-যাওয়ার ক্ষেত্রেও সীমাহীন দুর্ভোগ পোহাতে হচ্ছে।
স্থানীয় বাসিন্দা মো. মাহাবুব কবির নতুন কুমিল্লা.কম-কে জানান, প্রায় ৩-৪ বছর যাবৎ হালকা সংস্কারের মাধ্যমে সড়কটি চলছিল। স্থায়ীভাবে কোনও উন্নয়ন কাজ হচ্ছে না সড়কটিতে।
কুমিল্লা সিএনজিচালিত অটোরিকাশা মালিক সমিতির সাধারণ সম্পাদক মো. আলম নতুন কুমিল্লা.কম-কে জানান, সড়কটি দিয়ে যাতায়াতে প্রায়ই নষ্ট হচ্ছে গাড়ি। এজন্য মাঝপথে যাত্রীরা দুর্ভোগে পড়ে থাকেন। আমাদের দাবি, সড়কটি যেন দ্রুত সংস্কার হয়।
এ বিষয়ে সড়ক ও জনপথ কুমিল্লার নির্বাহী প্রকৌশলী ড. মো. আহাদ উল্লাহ নতুন কুমিল্লা.কম-কে বলেন, চাঁপাপুর থেকে টমছম ব্রিজ পর্যন্ত সড়কটি সংস্কার হয়েছে। অবশিষ্ট অংশ সংস্কারের খুব প্রয়োজন হয়ে পড়েছে। আমাদের অবহেলা নেই। ঠিকাদারদের বলে দিয়েছি যত দ্রুত সম্ভব সড়কটি সংস্কার করার জন্য।