কুমিল্লার লাকসামে সরকারি ও বেসরকারি হাসপাতালগুলোতে বৃহস্পতিবার (৮ আগস্ট) পর্যন্ত ৩ শিশুসহ ৪৪ জন ডেঙ্গু আক্রান্ত রোগী সনাক্ত করা হয়েছে। এলাকায় ডেঙ্গু রোগের প্রাদুর্ভাব বৃদ্ধি পাওয়ায় জনমনে চরম আতংক বিরাজ করছে। উপজেলা প্রশাসন ৩টি স্থানে ডেঙ্গু রোগী সনাক্ত করার জন্য শহর থেকে ঈদ উপলক্ষে আসা যাত্রীদের স্বাস্থ্য পরিক্ষার ব্যবস্থা নিয়েছে। সরকারি হাসপাতালে ডেঙ্গু রোগীর চিকিৎসার জন্য ডেঙ্গু ওয়ার্ড নামে বিশেষ ওয়ার্ডের ব্যবস্থায় করা হয়েছে।
সরকারি ও বেসরকারি হাসপাতাল সুত্র মতে, সারাদেশে ডেঙ্গু রোগ ছড়িয়ে পড়ার সাথে সাথে কুমিল্লার লাকসামেও ডেঙ্গু রোগীর সংখ্যা বাড়ছে। আজ বৃহস্পতিবার পর্যন্ত সরকারি ও বেসরকারি হাসপাতালগুলোতে ৯ মাসের শিশুসহ ৪৪ জন ডেঙ্গু রোগী সনাক্ত করা হয়েছে। এদের মধ্যে ৬ জন ডেঙ্গু রোগী চিকিৎসা শেষে সুস্থ হয়ে বাড়ী ফিরে গেছেন।
লাকসাম সরকারি হাসপাতালে ৫ জন সনাক্ত করা হয়েছে। এদের মধ্যে মহিন উদ্দিন (৩০) নামে এক রোগী চিকিৎসাধীন রয়েছেন।
এদিকে, উপজেলার বেসরকারি হাসপাতালগুলোর মধ্যে লাকসাম জেনারেল হাসপাতালে আবদুর রহিম (২২), সাফি (১৯), মাহবুবুল আলম (১৮), গৌরাঙ্গ সাহা (৬৫), সফিকুর রহমান (২০), শাহাদাৎ হোসেন (১৭), তারেক চৌধুরী (২০), আবুল কালাম (৬), আবদুল্লাহ আল মামুন (২২), সাইফুল ইসলাম (২৩), সরওয়ার (৩৬), রাসেল (২২), সাবিত (২৪) সহ ১৬ জন ডেঙ্গু রোগী সনাক্ত করা হয়েছে। এদের মধ্যে ইমরান হোসেন (১৮), জসিম উদ্দিন (২৫) চিকিৎসা নিয়ে বাড়ী ফিরেছে এবং খালেদা আক্তার (৩০) চিকিৎসাধীন রয়েছে।
সুরক্ষা হাসপাতালে জান্নাতুল ফেরদাউছ, সওদা আক্তার, সায়মুন আক্তার, খালেদ হোসেন, শারমিন আক্তার, আবদুল কাদের, রোমানা বেগম, রাশেদ হোসেনসহ ৮ জন ডেঙ্গু রোগী সনাক্ত করা হয়েছে। এদের মধ্যে সওদা আক্তার ও রাশেদ হোসেন চিকিৎসা নিয়ে বাড়ী ফিরেছে।
ফেয়ার হেলথ হসপিটালে মোঃ মঞ্জু মিয়া, শিপন মিয়া, সাইফুল ইসলাম, মহিন উদ্দিন সহ ৪জন ডেঙ্গু রোগী সনাক্ত করা হয়েছে।
ডায়াগনষ্টিক সেন্টারে ইশরাত জাহান (১০), তাজুল ইসলাম (১৮), মোতালেব হোসেন (১৯) সহ ৩ জন ডেঙ্গু রোগী সনাক্ত করা হয়েছে।
ডায়াবেটিকস হেলথ কেয়ারে কাউছার আক্তার নামে একজন চিকিৎসাধিন রয়েছে। আধুনিক হাসপাতালে আবদুল মজিদ (২৩) নামে একজনের ডেঙ্গু রোগ সনাক্ত হয়।
লাকসাম মেডিকেল সেন্টারে সাথী আক্তার (৯ মাস), আবুল কাশেম (৪০), ইয়াছিন আরাফাত(৩২) সহ ৩ জন ডেঙ্গু রোগী সনাক্ত হয়েছে।
ইউনাসইটেড এন্ড ট্রমা হাসপাতালে রাহেলা বেগম (৫৫), কার্তিক (৪৮), আবু রায়হানসহ (১৬) তিন রোগী সনাক্ত করা হয়।
লাকসাম উপজেলা স্বাস্থ্য কর্মকর্তা ডাঃ মোঃ আবদুল আলী বলেন, ডেঙ্গু রোগের চিকিৎসায় সরকারি নির্দেশনা মতে যথাযথ ব্যবস্থা নেয়া হয়েছে। আমাদের হাসপাতালে ইতিমধ্যে ডেঙ্গু ওয়ার্ড খোলা হয়েছে। এখানে ১৬টি বেড রয়েছে। বর্তমানে একজন রোগী ভর্তি রয়েছে।
এ বিষয়ে উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা একেএম সাইফুল আলম নতুন কুমিল্লা.কমকে বলেন, ঈদ উপলক্ষে শহর থেকে এলাকায় আসা লোকদের ডেঙ্গু সনাক্ত করতে লাকসাম রেলওয়ে জংশন, পৌরশহরস্থ বাইপাস ও মুদাফরগঞ্জসহ ৩টি স্থানে উপজেলা প্রশাসনের উদ্যোগে ডেঙ্গু রোগ সনাক্তকরণ টিম কাজ করছে। ডেঙ্গু রোগী বা জ্বরে আক্রান্তদের নিবিড় পরির্চযায় রেখে চিকিৎসার ব্যবস্থা নেয়া হয়েছে।